আব্দুস সামাদ, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্যতায় পাঠদানে নেমে এসেছে স্থবিরতা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে (পূর্বরাজাবাজ,৯০নং লালপুর,কলকতখাঁ,যতীন্দ্রপুর,আছানপুর,উলুকান্দি,বিষ্ণুপুর,নিধিপুর,শুকদেবপুর যশেমন্তপুর,গজারিয়া,নয়াহালট, ছেলাইয়া,হাজী কালাগাজী) ১৩টিতে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে, যার অনেকগুলো পদ এক বছরের বেশি সময় ধরে ফাঁকা। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সীমিত ক্ষমতার কারণে কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে পারছেন না। স্থানীয় অভিভাবক আলমগীর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ে পাঠাই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে স্কুলে শিক্ষার গুনগত মান ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হলে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমরা সকল সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে তার প্রভাব পড়ছে। নিয়মিত প্রশাসনিক কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বার্ষিক পরিকল্পনা, শিক্ষক মূল্যায়ন, ক্লাস রুটিন বাস্তবায়ন, উপস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ নানা কাজে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এমনকি অবকাঠামো উন্নয়ন, আসবাবপত্র ক্রয় এবং সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নেও জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি মজুমদার বলেন, উপজেলার ১৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।