ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। গত ২৬ জুলাই খুলনার শিববাড়ি মোড়ের গণ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন:
খুলনা ১ নং আসনে (বটিয়াঘাটা+দাকোপ) জেলা শাখার সহ সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ।
খুলনা ২ নং আসনে (সদর+সোনাডাঙ্গা) মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আমানুল্লাহ।
খুলনা ৩ নং আসনে (খালিশপুর+ দৌলতপুর+ খানজাহান আলী+ আড়ংঘাটা) কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল।
খুলনা ৪ নং আসনে (রুপসা+ দিঘলিয়া+ তেরখাদা) কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।
খুলনার ৫ আসনে (ডুমুরিয়া+ফুলতলা) জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি আব্দুস সালাম।
খুলনা ৬ আসনে (পাইকগাছা+কয়রা) জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই কমিটি খুলনার ছয়টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। তবে, ইসলামী জোট হলে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই প্রার্থীতার পিছনে ইসলামী আন্দোলনের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য সম্পর্কে বিশদ জানার জন্য আমাদের প্রতিনিধি স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। নেতাদের মতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা অঞ্চলে তাদের শক্ত ভিত্তি ও প্রভাব বিস্তার করতে চায় এবং এই নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা জনগণের সেবা ও কল্যাণে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে খুলনা অঞ্চলে তাদের প্রচারণা শুরু করেছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে তাদের বার্তা পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে সুষ্ঠু ও ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
খুলনার এই নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খুলনার জনগণের জন্য এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন যে, এই নির্বাচন ইসলামী আন্দোলনের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা আরও একটি বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠন করতে সক্ষম হয়।