ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের (আইসিএবি) কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহ এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন অফিসে একটি আপিল শুনানিতে যোগ দিতে এসে তিনি বিএনপি কর্মীদের দ্বারা শারীরিক হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসি অফিসে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরোধিতা করে আপিল করতে গিয়ে আতাউল্লাহর উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং আইনজীবী রুমিন ফারহানা উপস্থিত থাকলেও তিনি এই ঘটনার প্রতি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এই ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলগুলো বিএনপির উপর ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে এবং তাদেরকে আগের আচরণের পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ বলেন, 'আমাদের আপিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আমাদের মতামত প্রকাশ করা। কিন্তু যে আচরণ আমাদের সাথে করা হয়েছে, তা নিন্দনীয়।'
বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে এবং তারা এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে। রুমিন ফারহানা এ বিষয়ে বলেন, 'এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এটি আমাদের দলের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।'
তবে রুমিন ফারহানা বলেছেন থাক্কা দিলে পাল্টা থাক্কা খেতে হবে
এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ইসির ভেতরেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তবে সারা দেশে কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ঘটনার ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হতে পারে।