close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঈশ্বরগঞ্জে সেতু ভেঙে মাটি ভরাটের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে..

Md Ubaydullah Rume avatar   
Md Ubaydullah Rume
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি সেতু ভেঙে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের ইকরিয়া কান্দা নামক স্থানে এলজিইডি-নির্মিত একটি সড়কের ওপর অবস্থিত প্রায় ৫০ বছর পুরনো সেতুটি ভেঙে সেখানে মাটি ফেলার কাজ চলছে। এই কাজটি করছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ ইমদাদুল হক মিলন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ এলজিইডি অফিসের সিইও নাঈম। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শুধু দেখতে এসেছি, বিস্তারিত স্যার বলতে পারবেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সেতুটি দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারের বেশি কৃষকের শত শত একর জমির পানি নিষ্কাশন হয়। সেতুটি ভেঙে মাটি ভরাট করা হলে পানি আটকে গিয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে নাউরী, ইকরিয়া কান্দা, নয়াপাড়া সহ একাধিক গ্রামের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

নাউরী গ্রামের কৃষক শাহজাহান মণ্ডল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এই সেতুর মাধ্যমে গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। হঠাৎ বিএনপি নেতা শেখ ইমদাদুল হক মিলন তার জমি ভরাটের জন্য সেতু ভাঙতে শুরু করে। আমরা বাধা দিলেও তিনি শুনেননি। সোমবার সকাল থেকে তার লোকজন কাজ শুরু করে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানাকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে শেখ ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমি মাস খানেক আগে জমিটি ক্রয় করেছি। বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করছি। সেতু ভাঙার বিষয়ে এলজিইডির অনুমতি রয়েছে। তারা বিষয়টি জানে।

তবে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন জানান, আমি সেতু ভাঙার বিষয়টি শুনে সেখানে নাঈমকে পাঠিয়েছি। ব্যাক্তি মালিকাধীন জায়গায় মাটি ভরাটের বিষয়ে আমি তো তাকে কিছু বলতে পারি না। তবে তাকে আমি পানিষ্কাশন প্রবাহ ঠিক রেখে কাজ করতে বলেছি। সেতু ভাঙার কথা বলিনি।

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, সরকারি রাস্তা কেটে এবং পানি নিষ্কাশনের সেতু ভেঙে মাটি ভরাটের অভিযোগে ৯৯৯-এ কল আসে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ইউএনও সানজিদা রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অফিসে ছিলেন না। মুঠোফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি।

No comments found