গাজীপুরের টঙ্গী টিএন্ডটি এলাকার বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহ মাদানী বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তার নিখোঁজের পেছনে ইসকনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ উঠেছে।
মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তার পিতা জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিতর্কিত সংগঠন ইসকন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এরপর তাকে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়, যেখানে ইসকনের নাম লগো ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা উল্লেখ করেন।
আব্দুল্লাহ আরও জানান, এই চিঠিগুলোর প্রসঙ্গে মুফতি মুহিবুল্লাহ মসজিদ কমিটির সাথে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। সকাল ১১টা পর্যন্ত তার মোবাইল খোলা থাকলেও সোয়া ১১টার পর থেকে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের ধারণা, ইসকনের দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করতে পারে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নিখোঁজ মুফতির সন্ধানে তার মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ:
ইমাম মুহিবুল্লাহর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ধর্মীয় সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইসকন, যা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ নামে পরিচিত, একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন, যা মাঝে মাঝে বিতর্কের সূত্রপাত করে। তবে, এ ধরনের অভিযোগের বিপরীতে ইসকনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই ধরনের ঘটনা ধর্মীয় সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য একটি হুমকি হতে পারে। তদন্ত কত দ্রুত এবং কার্যকর হবে, তার ওপর নির্ভর করছে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচিত দ্রুততার সাথে সত্য উদঘাটন করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। ইমামের পরিবারের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং ধর্মীয় শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত পক্ষকে সংযত ও সংবেদনশীল থাকতে হবে।
স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুর।