সত্যজিৎ দাস:
মৌলভীবাজারের এক আমেরিকান প্রবাসী যুবক সাফায়েত ফরাইজি (৩৫)'কে ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার লোভে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে এবং তার সহযোগী শক্তি ও দলের লোকজনকে।
সোমবার (১১ আগস্ট) মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে মানবাধিকার কর্মী ও হোপস ডোর বাংলাদেশ এর চেয়ারপারসন শামীমুন নাহার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
তিনি জানান,২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মৌলভীবাজারের আইনজীবী উমায়রা ইসলাম ইমার সাথে। এরপর থেকে নানা কৌশলে তাদের উপর অবিচার শুরু হয়। ২০২১ সালে দেশে আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবে সাফায়েতকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়।
মানবাধিকার কর্মী শামীমুন নাহারের বর্ণনা অনুযায়ী,উমায়রা ইসলাম ইমা বিভিন্ন কৌশলে তাদের অর্থ ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে একাধিকবার হুমকি-ধমকিসহ প্ররোচনা চালানো হয়। হত্যার পর বিচার চাওয়ায় শামীমুন নাহার ও তার প্রতিবেশী বোন ফৌজিয়া হাসানসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাঁদের হয়রানি করা হয়।
সেখানে উল্লেখযোগ্য, বিচারাধীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ২৭ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি বেকসুর খালাস দেন।
তবে,মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও তার সহযোগীরা পুলিশ,বিচার বিভাগসহ নানা ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করছে।
শামীমুন নাহার আরও বলেন,“আমাদের সম্পত্তি দখল ও ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।”