close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের দারুণ শুরু ; হারালো স্বাগতিকদের..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই নাটকীয় এক জয়ে শুরু করল রংপুর রাইডার্স। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৮ রানে জয় তুলে নিয়েছে তারা..

ম্যাচের মাঝপথে যখন জনসন চার্লস ও মঈন আলীর দৃঢ় জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল গায়ানা, তখনই পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। রংপুরের বোলারদের দারুণভাবে ফিরিয়ে আনা সেই ম্যাচে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে গুড়াকেশ মোতির ঘূর্ণিতে ভাঙে ওপেনিং জুটি। কাট করতে গিয়ে স্টাম্প হারান ১৮ রান করা সাইফ। এরপর একই বোলারের বলে মিড উইকেটে ধরা পড়েন সৌম্য, তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।

মাঝে ইমরান তাহিরের এক ওভারে ডাবল আঘাতে ধস নামে রংপুর শিবিরে। এক বলে বোল্ড হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দ্রুত ১৮ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে রংপুর।

তবে শেষদিকে দৃঢ় ব্যাটিং করেন কাইল মেয়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনই একবার করে জীবন পেয়ে তা পুরোপুরি কাজে লাগান। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দলকে পৌঁছে দেন ১৬২ রানে।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও গায়ানাকে পথ দেখাচ্ছিলেন জনসন চার্লস ও মঈন আলী। চতুর্থ ওভারে ওমরজাইয়ের বলে গুরবাজকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রংপুর। এরপর চার্লস-মঈনের ৪৮ রানের জুটিতে ম্যাচ চলে যায় গায়ানার দিকে।

তবে তখনই কাজের কাজটি করেন হারমিত সিং ও তাবরাইজ শামসি। ২৮ বলে ৪০ রান করা চার্লসকে ফেরান হারমিত, মঈনকে (২৭) আউট করেন শামসি। উইকেটের পেছনে দু’বারই ক্যাচ ধরেন নুরুল হাসান সোহান।

এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে গায়ানা। ৯ বলে ১৪ রান করা জোয়েল অ্যান্ড্রু আউট হন ইফতিখারের বলে। রাদারফোর্ডকে (১৩ বলে ১৯) ফেরান খালেদ, একই বোলারের বলে ফেরেন হেটমায়ারও। এরপর গুড়াকেশ মোতিকে ফেরান শামসি।

১৯তম ওভারে খালেদ হ্যাটট্রিক না করলেও এক ওভারে ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও শামার স্প্রিঙ্গারকে। এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই ডেভিড ভিসেকে বোল্ড করে ম্যাচের যবনিকা টানেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

রংপুরের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল খালেদ আহমেদ—৪ উইকেট নিয়ে। সঙ্গ দিয়েছেন ওমরজাই ও শামসি।

রংপুর রাইডার্স – ১৬২/৫ (২০ ওভার)
 সৌম্য ৩৫ (৩৬), মেয়ার্স ৪৪* (২৫), ইফতিখার ৩৪* (২০)
 তাহির ২/২১, মোতি ২/৩২

গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স – ১৫৪/১০ (১৯.১ ওভার)
 চার্লস ৪০ (২৮), মঈন ২৭ (২২), রাদারফোর্ড ১৯ (১৩)
 খালেদ ৪/৩৬, ওমরজাই ২/১৩, শামসি ২ উইকে

 

לא נמצאו הערות