ভালুকজান জামিয়ায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের জয়: তদন্তে বলৎকারের অভিযোগ প্রমাণিত, অপরাধী চিহ্নিত
স্থান: ভালুকজান, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ
তারিখ: ৭ আগস্ট ২০২৫
প্রতিবেদন: আশরাফুল আলম, যাত্রাবাড়ী, শিক্ষানবিশ রিপোর্টার
---
ভালুকজান ইউনিয়নের জামিয়া আরাবিয়া বাহারুল উলূম মাদ্রাসায় একাধিক ছাত্রকে বলৎকারের গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে প্রতিষ্ঠানের মুহতামিম আবু হানিফা নোমান-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে এবং একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তোলে।
অবশেষে, আন্দোলনের চাপ ও প্রমাণের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটি সত্য উদঘাটনে সফল হয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হয়। ছাত্রসমাজের ভাষ্য অনুযায়ী,
> "সত্যের জয় হয়েছে, অন্যায়ের মুখোশ খুলে গেছে। মাদ্রাসার পবিত্রতা রক্ষায় আমরা সফল হয়েছি।"
---
অভিযোগের প্রকৃতি: বলৎকার ও যৌন নিপীড়ন
তদন্তে উঠে এসেছে,
মুহতামিম আবু হানিফা নোমান দীর্ঘদিন ধরে কিছু ছাত্রকে মানসিক ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রলোভন দিয়ে বলৎকার করতেন
একাধিক ছাত্র ভয়ে মুখ না খুললেও, শেষ পর্যন্ত কয়েকজন সাহস করে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণসহ অভিযোগ উত্থাপন করে
তদন্ত কমিটি ছাত্রদের অভিযোগকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সত্যতা যাচাই করে অপরাধ নিশ্চিত করে
---
আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া
আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা জানিয়েছে—
আমরা প্রথম থেকেই সত্যের পক্ষে ছিলাম
আমাদের মুখ বন্ধ করতে অনেক চক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে
মাদ্রাসা কোনো ব্যক্তির জমিদারি নয়, এটা আল্লাহর ঘর, যেখানে অন্যায়ের ঠাঁই নেই
তারা আরও বলেন,
> “যারা আমাদের দমন করতে চেয়েছিল, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”
---
শিক্ষার্থীদের দাবি
১. অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে
২. মাদ্রাসার পবিত্র পরিবেশ ও নৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে
৩. যারা অভিযোগকারীদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে
---
সামাজিক বার্তা ও প্রতিশ্রুতি
আন্দোলনকারীরা বলছেন—
এই জয় শুধু ভালুকজানের নয়, এটি সমগ্র শিক্ষাঙ্গনের জন্য এক উদাহরণ
অন্যায় যেখানে হবে, প্রতিবাদ সেখানেই গড়ে উঠবে
ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচারের পক্ষে ছিল, আছে এবং থাকবে
---
ছড়িয়ে পড়া বার্তা ও হ্যাশট্যাগ
#সত্যেরজয়
#ভালুকজান
#ছাত্রআন্দোলন
#হকেরপক্ষে
#মাদ্রাসারইজ্জতরক্ষা
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো— সত্য কখনো চিরকাল চাপা থাকে না। ন্যায়ের পথে সাহসিকতার সঙ্গে অটল থাকলে, ছাত্রসমাজের কণ্ঠই হয়ে ওঠে অপরাধবিরোধী শক্তিশালী আওয়াজ। এখন জাতি তাকিয়ে আছে— চিহ্নিত অপরাধীর দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিকে।