close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ফলোআপ:তালা যুবদল নেতা শামীম হত্যাকাণ্ড: দুই সন্দেহভাজন আটক..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় যুবদল নেতা শামীম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দুই যুবক আটক

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক শামীম হোসেনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুই সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট '২৫) সকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের আবুবক্কার দফাদারের ছেলে এজাজুল ইসলাম (৪৩) এবং তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সরদার (৩৮) কে আটক করা হয়।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে শামীমের নিজ বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ শামীমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

শামীমের পরিবার জানায়, তিনি তার মা, স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল বাজারে বসবাস করতেন। তাদের তিনতলা বাড়ির নিচতলা ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় তলায় শামীম ও তার পরিবার থাকতেন। শামীমের মা রশিদা বেগম জানান, প্রতিরাতে বহিরাগত লোকজন তাদের বাড়িতে আসতো এবং মাদক সেবন করত। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই ব্যক্তি এজাজুল ও শরিফুল প্রায়ই আসতেন বলে জানা গেছে।

শামীমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি উল্লেখ করেন যে, স্বামীকে নেশা ছাড়ানোর জন্য বহুবার নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা মানতেন না। ঘটনার রাতে রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে শামীমকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ রানা জানিয়েছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শামীম হত্যার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে শরিফুল ও এজাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে শামীমের পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তালা অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার দাবি করছেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। শামীমের হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

لم يتم العثور على تعليقات