তার অকালপ্রয়াণে শোক জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা উয়েফা। তবে তাদের শোকবার্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহ।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন আল-ওবেইদ। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মাঠের পারফরম্যান্স ও জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ নামে পরিচিত ছিলেন।
উয়েফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তাকে স্মরণ করে লিখেছে— ‘একজন প্রতিভা, যিনি অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দিয়েছেন।’ কিন্তু সেই ভাষা সালাহর চোখে কৃত্রিম মনে হয়েছে। রিপোস্ট করে তিনি লিখেছেন— ‘আপনারা কি বলতে পারেন তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’
সালাহর এই মন্তব্য মুহূর্তেই আলোচনার জন্ম দেয়। তার পোস্টে ইতোমধ্যে ৯ লাখের বেশি লাইক, আড়াই লাখের বেশি রিপোস্ট এবং ২০ হাজারের বেশি মন্তব্য পড়েছে। এর আগে গাজার মানবিক সহায়তার পক্ষে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন মিশরের ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
এদিকে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের বিবৃতিতে উয়েফা সভাপতি আলেকসান্ডার সেফেরিনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়— ‘গাজার শিশুদের জন্য তিনি প্রতিভা ও নিষ্ঠা উজাড় করে দিয়েছেন। তার মৃত্যু শুধু ফুটবল নয়, মানবতার জন্যও এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
সংস্থাটি আরও জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি ফুটবল পরিবারের অন্তত ৩২৫ জন খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, রেফারি ও ক্লাব বোর্ড সদস্য নিহত হয়েছেন।