টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির প্রবল স্রোতের কারণে ফেনী, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মুহুরী, সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর অন্তত ১৭টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীর আশেপাশের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, পরশুরামে: জঙ্গলঘোনা, গদানগর, সাতকুচিয়া, আলকা, শালধর এলাকাজুড়ে ৮–১০টি ভাঙন
ফুলগাজীতে: উত্তর শ্রীপুর, দৌলতপুর, দেড়পাড়া, কিসমত দৌলতপুর, বরাবান্দ, সাহাপুর ও আমজাদ হাট এলাকায় অন্তত ৭টি ভাঙন
মুহুরী নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদরের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরতলির বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে আছে।
ফেনী-পরশুরাম সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনকভাবে, বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে অন্তত ১১৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জরুরি প্রয়োজন:,
শুকনো খাবার ও খাবার পানি
বাচ্চাদের জন্য দুধ ও খাদ্য
ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা
ত্রিপল ও আশ্রয় সামগ্রী
হাইজিন সামগ্রী (সাবান, স্যানিটারি প্যাড, পানির বোতল ইত্যাদি)
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।