ঢাকা, ১৯ আগস্ট ২০২৫ – আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংশয় ও মন্তব্যকে তিনি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকারের, কোনো দলের নয়।
সরকারের অবস্থান দৃঢ়:
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, "নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা মাথার মধ্যে এটাই রাখছি- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, আমরা ফেব্রুয়ারিতেই চলে যাবো।" তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা একজন বিশ্বনন্দিত ব্যক্তি এবং তার ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসার বিন্দুমাত্র চিন্তা সরকারের নেই।
রাজনৈতিক মন্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা:
'ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না'—এমন মন্তব্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কথা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, "এখন রাজনৈতিক দল তো বিভিন্ন উদ্দেশে বিভিন্ন কথা বলে এবং ওইটা তো একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবেই এসব রাজনৈতিক কথাবার্তা হতো, এখনও ঠিক ওরকমভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে। ফলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কে কী বলবেন এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখবেন।" তিনি যোগ করেন, কথায় খুব বেশি গুণগত পরিবর্তন হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি:
সরকারের এই ঘোষণার পর এখন সবার দৃষ্টি নির্বাচন কমিশনের দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশন সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেলে দ্রুত তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেবে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কারিগরি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেলেই আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।"
বিশ্লেষকদের মতামত:
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইন উপদেষ্টার এই বক্তব্য নির্বাচন নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে। তাদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যা সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করবে।