close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

এসএসসির ফলাফলে হতাশা, জুলাই আন্দোলনের প্রভাব!

ছাইম ইবনে আব্বাস  avatar   
ছাইম ইবনে আব্বাস
এবছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিলেটে কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫। সংশ্লিস্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা গত বছর জুলাই আন্দোলনে ব্যস্ত থাকায় পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এ প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।..

তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, শেষ সময়ে এসে কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজির প্রশ্নপত্র অনেক কঠিন হয়েছে। একারণে ফলাফল আশানুরুপ হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সারাদেশর মতো সিলেট শিক্ষাবোর্ডেরও এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবারের ফলাফলে  সিলেটে ৬৮.৫৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। এবার সিলেটে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪ জন।

তবে গতবছর সিলেটে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১জন শিক্ষার্থী।
পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমা প্রসঙ্গে সিলেটে শিক্ষাবোর্ডের চেযারম্যান মো.আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গতবছর জুলাই অভ্যুত্থানের কারনে নিয়মিত ক্লাস না করেত পারায় সারাদেশেই ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীরাও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি।

তবে সার্বিক ফলাফলে সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, এবছর গণিত ও ইংরেজিতে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এছাড়া  মানবিকের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করায় কমেছে পাসের হার।

তিনি জানান, দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষক না থাকায়ও সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।

সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেপি বেগমও মনে করেন এবারের ফলাফলে জুলাই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ব্যস্ত ছিলো। তাই পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি।

গত বছরের জুলাই সরকারী চািরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে একদল শিক্ষার্থী। ক্রমেই যা পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই আন্দোলনের ফলেই ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বোর্ড চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা জুলাই আন্দোলনের কারণে পাশের হার কমেছে জানালেও একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এবার এসএসসিতে শেষ সময়ে ক্যারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষরে প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিলেটে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২ হাজার ২১৯ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন শিক্ষার্থী।

বোর্ডের অধীনে চার জেলার  ৯৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ৭ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান নেই।

বিভাগ ভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, বিজ্ঞান  বিভাগে ৭৭.৪৭ শতাংশ, মানবিকে ৬৪.৭১ শতাংশ এবং ব্যবসা প্রশাসনে ৭৬.৯৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য  হয়েছে।

Ingen kommentarer fundet