বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ ঢাকায় নবম জাতীয় পে-কমিশনের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মো. মাকছুদুর রহমান সরকার, এফসিএমএ, চেয়ারম্যান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. এ. কে. এম. মাসুদ, প্রফেসর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ দাবি-দাওয়া তুলে ধরে।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি-বিনোদন ভাতা, অবসর সুবিধা এবং কল্যাণ বোর্ড পরিচালনা কমিটি জাতীয় পেনশনের আওতায় আনার দাবি জানায়। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে আর্থিক বৈষম্য দূর করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
প্রতিনিধিরা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় অবহেলার শিকার। বর্তমান বৈষম্যমূলক কাঠামোর কারণে একদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানভুক্ত শিক্ষকেরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, অন্যদিকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই জাতীয়করণ ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
এ সময় নবম জাতীয় পে-কমিশনের প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দল আশা প্রকাশ করে যে, পে-কমিশনের সুপারিশে এমপিওভুক্তদের ন্যায্য দাবি প্রতিফলিত হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য অনেকটাই দূর হবে।
বৈঠকে পে-কমিশনের সদস্যরা শিক্ষক ফোরামের উপস্থাপিত প্রস্তাব মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তারা জানান, শিক্ষা খাতের উন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ জাতীয় পে-কমিশনের আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে।
ফোরামের নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যে বঞ্চনা চলছে, এবার তার অবসান ঘটাতে হবে। পূর্ণাঙ্গ ভাতা, অবসর ও কল্যাণ সুবিধা নিশ্চিত না হলে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য তারা সরকারের কাছে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানান।