ইফতিয়াজ সুমন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সুনামগঞ্জ ১ আসনের গণমানুষের জন্য সেবামূলক নানা কাজ করে যাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক-সহ সাংগঠনিক (সিলেট বিভাগ) ও সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সরকার । একইসঙ্গে নির্বাচনি কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ- ১ (ধর্মপাশা-তাহিপুর-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। তবে এমপি নয়, সেবক হিসেবে গণমানুষের জন্য কাজ করতে চান মাহবুবুর রহমান সরকার। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দেড় দশকে বিএনপি নানা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দমনপীড়নে দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে দাঁড়াতে পারেননি। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে তারা পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নতুন বাস্তবতায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আবার সক্রিয় হয়েছেন। সামনে থেকে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহবুবুর রহমান সরকার। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং এখনও দলের নির্দেশনা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচনি এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মাহবুবুর রহমান । মাহবুবুর রহমান সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ এই রাজনীতির পথে নানা সময়ে দমনপীড়ন, হামলা-মামলা ও কারাবরণ করেছেন মাহবুবুর রহমান । এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থেকেছেন। এজন্য নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন এবং সমাধান করছেন। ইতিমধ্যে(ধর্মপাশা-তাহিপুর-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর)উপজেলারবাসীর কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন। এজন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজনীতি এবং মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।
মাহবুবুর রহমান সরকার জানিয়েছেন, নদীভাঙনকবলিত মানুষ যখন তার কাছে গিয়ে জানান তাদের মাথা গোঁজার ঠাইটুকু হারিয়ে গেছে। এখন অন্যের জমি কিংবা বাঁধের ওপর ঘর তৈরি করে থাকতে হচ্ছে। তখন ভাঙনের সমস্যার সমাধান দিতে না পারলেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে ভাঙনকবলিত এলাকায় কর্মসূচি দেন। এলাকার মানুষ কোনও সমস্যায় পড়লে ছুটে গিয়ে সমাধান করেন। দুঃখ-কষ্টের কথা বলতে মানুষও তার কাছে ছুটে যান। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে এমপি প্রার্থী হতে তাগিদ দিচ্ছেন। তাদের তাগিদ থেকে এবং এলাকার উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি হওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, রাজনীতির মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গে একটা সম্পৃক্ততা গড়ে ওঠে। একইসঙ্গে বিশেষ করে এলাকাবাসীর সমস্যা এবং এলাকার সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। এজন্য দরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সেই স্থান থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে আছে আমার। এজন্য এলাকাবাসী আমাকে নানাভাবে উৎসাহিত করছেন। তবে নির্বাচনের আগেই আমি(ধর্মপাশা-তাহিপুর-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর)আসনের বিশেষ করে যারা সমস্যাগ্রস্ত তাদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছি। যেকোনো বিপদে কিংবা সমস্যায় পড়লে এলাকার মানুষজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা দিচ্ছি। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জ- ১ আসনে তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে এখানের মানুষ অবহেলিত। এ কারণে উপজেলাবাসীর প্রতি আমার নজর বেশি। তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে যেটুকু উন্নয়নকাজ হয়েছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় তা বেশি দিন টেকেনি। এখনও কাদা সড়ক ও নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয় উপজেলাবাসীকে। গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো। অথচ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের পতিত সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন বলে গলা ফাটিয়ে ফেলেছে। সেই উন্নয়ন সুনামগঞ্জ ১ আসনে লোকজন দেখেননি। বিএনপি গলা ফাটানো উন্নয়ন করবে না। বিএনপি সরকার গঠন করলে উন্নয়ন হবে গ্রামবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে। আর গ্রামবাসী তদারকি করে সেই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এখানের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হবে না।’