চলমান ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের পদার্থবিদ্যার জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জনাব হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। তিনি চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ভিজিলেন্স টিমের সদস্য।
জানা যায়, তিনি গত ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে চকরিয়া সিটি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ভিজিলেন্স টিমের সদস্য হিসেবে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে মাত্র তিনদিন পর, আজ (১৩ জুলাই) তাকে একই কেন্দ্রের ৩০৩ নম্বর কক্ষে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়, যা ইতোমধ্যেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পদার্থবিদ্যার নৈর্ব্যক্তিক (MCQ) পরীক্ষার সময় তিনি নিজেই ৩য় তলা থেকে নেমে গ্রাউন্ড ফ্লোরের ১০১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন এবং সেখানে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেখে সঠিক উত্তর জানিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালান। বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে, যেহেতু হুমায়ুন কবির নিজেই পদার্থবিদ্যার একজন শিক্ষক।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের অন্যান্য কক্ষ পরিদর্শকগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবিরকে ভর্ৎসনা করে তার নিজ কক্ষে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘ডুলাহাজরা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হুমায়ুন কবির স্যারের ডিউটি পরেছিলো ওপরের তলার কোনো এক কক্ষে। তবে তিনি পদার্থ বিজ্ঞান পরিক্ষা চলাকালীন সময় আমাদের কক্ষে (১০১ নং) প্রবেশ করে MCQ প্রশ্নের সমাধান করে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বলতে থাকেন৷ যা একটি জঘন্যতম অনিয়ম।’
এব্যপারে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
তবে নিজ কেন্দ্রের সুনাম ধরে রাখতে কেন্দ্র সচিব বিষয়টি কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে চকরিয়া সিটি কলেজের কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রভাষক হুমায়ুন কবির ৩য় তলা থেকে ওয়াশরুম ব্যবহারের জন্য নিচ তলায় এসে ১০১ নং কক্ষের কক্ষ পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন৷ পরবর্তীতে তাকে ৩০১ নং কক্ষে নিজ দায়িত্ব পালনে পাঠানো হয়। ৩য় তলায় ওয়াশরুম থাকার পরেও তিনি নিচ তলায় কেন আসেন এমন প্রশ্নে ভিত্তিহীন উত্তর দিয়ে এড়িয়ে যান অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন।’
তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।