সম্প্রতি ঢাকায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় জামাত-ই-ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলার ঘটনাটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গুরুতর উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে। হামলার শিকার সাংবাদিকরা বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের সনাক্ত করতে সচেষ্ট রয়েছে।
হামলার ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, যখন সাংবাদিকরা একটি রাজনৈতিক সমাবেশ কাভার করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি হঠাৎ করেই তাদের উপর আক্রমণ চালায়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করে।
জামাত-ই-ইসলামীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, 'সাংবাদিকদের উপর হামলা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।' একইভাবে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সরকারের কাছে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাংবাদিকদের উপর এমন হামলা কেবলমাত্র তাদের কাজকে বিপন্ন করে না, এটি গণতন্ত্রের জন্যও হুমকিস্বরূপ। সরকার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ধরনের হামলার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় এই ধরনের আঘাত সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।