সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে লইট্যাখালী খালে মাছ ধরার সময় ওই জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে ওই বাহিনী।
অপহৃত জেলে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে। তবে তার মুক্তিপণ হিসেবে এখনো কোনো টাকা ধার্য্য করেনি দস্যুরা। দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য অন্য জেলেদের কাছে মোবাইল নম্বর দিয়ে গেছে ওই দস্যু বাহিনী।
চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে দুবলার চরে শুঁটকি মৌসুম ষুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গোটা শুঁটকি পল্লীতে জেলে-মহাজনদের মাঝে দস্যু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আলোরকোল শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্রের চাকলা জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ মেম্বর ও রামপাল জেলে সমবায় সমিমতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির শেখ জানান, গত বছর শুঁটকি পল্লী থেকে শতাধিক জেলে অপহরণের শিকার হয়। পরে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ পরিশোধ করে এসব জেলেদের ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে। এাবারও আবার দস্যুতা শুরু হওয়ায় শুঁটকি পল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলে-মহাজনদের নিরাপত্তা ও দস্যুদমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযান পরিচালনার দাবি জানান এই মৎস্যজীবী নেতারা।
দুবলা চর ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, দুবলার মাঝেরকিল্লার জেলে হাফিজুলসহ ৬-৭ জন জেলে ট্রলার নিয়ে লইট্যাখালী খালে মাছ ধরতে যান। এসময় বনদস্যু সুমন বাহিনীর শসস্ত্র দস্যুরা ট্রলারযোগে এসে হাফিজুলকে তুলে নিয়ে যায়। দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য ট্রলারের মাঝি শাহিনের কাছে তাদের দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায় দস্যুরা। অপহৃত জেলেকে উদ্ধারের জন্য ফিশারমেন গ্রুপের পক্ষ থেকে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে। চরের জেলে-মহাজনদের মাঝে নতুন করে দস্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুবলা জেলেপল্লী বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) মিল্টন রায় জানান, জেলে অপহরণের বিষয়টি কোষ্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। অপহৃত জেলেকে উদ্ধারে বনবিভাগের চেষ্টা চলছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ জানান, দুবলার জেলে অপহরণের ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



















