জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলো গুম, খুন এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং তারা মিডিয়া ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করে। হাসনাত আবদুল্লাহ এ বক্তব্য প্রদান করেন মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন 'জাতীয় যুবশক্তি'র আয়োজিত 'জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫'–এ।
হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য অনুসারে, ডিজিএফআই বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তৈরিতে জড়িত এবং বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম নয়। তিনি বলেন, 'দেশের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ডিজিএফআইয়ের দুর্বলতা আমাদেরকে শঙ্কিত করছে।'
এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং ডিজিএফআই এর কার্যক্রম নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, দেশের নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় ডিজিএফআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম নিয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মানবাধিকার কর্মীরাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের এজেন্সিগুলোর অপব্যবহার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, সরকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচিত ডিজিএফআই এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা করা এবং জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ প্রতিরোধে একটি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত, যা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে সক্ষম হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্য এবং ডিজিএফআইয়ের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা জরুরি। এছাড়া, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।