close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকার বাসে হিজড়াদের চাঁদাবাজি: যাত্রীদের নিত্য আতঙ্ক

Sumon Hawlader avatar   
Sumon Hawlader
রাজধানীর বাসে হিজড়াদের জোরপূর্বক টাকা আদায়ের ঘটনা প্রতিদিনই বাড়ছে, যা যাত্রীদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।..

সুমন হাওলাদারঃ

রাজধানী ঢাকার লোকাল বাসগুলোতে হিজড়াদের জোরপূর্বক টাকা আদায়ের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রুটে প্রতিদিনই ঘটে চলেছে এ ধরনের ঘটনা, যা যাত্রীদের জন্য একটি বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গাবতলী-মহাখালী, মিরপুর-ফার্মগেট, মতিঝিল-উত্তরা, সায়েদাবাদ-ধানমন্ডি, শ্যামলী-নিউমার্কেট রুটে এ ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়। যানজটে বাস থামলেই হিজড়ারা গাড়িতে উঠে পড়ে, হাততালি, গান এবং চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।

এক কর্মজীবী যাত্রী আলমাস বলেন, "এটা ভিক্ষা নয়, সরাসরি চাঁদাবাজি।" আরেকজন ছাত্র হাবিব বলেন, "প্রতিদিন এ ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে। অথচ পুলিশের কোনো নজরদারি নেই।" এ ধরনের অভিযোগ যাত্রীদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী, জোরপূর্বক টাকা আদায় চাঁদাবাজি হিসেবে গণ্য হয় এবং এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে ঢাকার বাসে এ ধরনের অপরাধ প্রতিদিনই ঘটছে এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। পুলিশের সুষ্ঠু নজরদারি ও পদক্ষেপের অভাবে যাত্রীরা প্রতিদিনই এই আতঙ্ক ও অপমানের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, হিজড়াদের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় তারা এ ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। সামাজিক বৈষম্য ও অবহেলা তাদেরকে আরও প্রান্তিক করে তুলেছে। পুলিশ ও ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলছে।

এই সমস্যার সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রথমত, বাসে চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ পুলিশ অভিযান চালানো উচিত। দ্বিতীয়ত, হিজড়াদের পুনর্বাসন কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

উপসংহার: ঢাকার লোকাল বাসে হিজড়াদের এই চাঁদাবাজি এখন উন্মুক্ত অপরাধে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজধানীর যাত্রীরা প্রতিদিনই আতঙ্ক আর অপমানের শিকার হতে থাকবে। এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

No comments found