close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ডিপো, সীতাকুণ্ডে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি..

MOHAMMAD JAMSHED ALAM avatar   
MOHAMMAD JAMSHED ALAM
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ডিপো, সীতাকুণ্ডে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি

মোহাম্মদ জামশেদ আলম,

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এই অংশে রয়েছে ছয়টি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)—কুমিরায় নেমসান ও কেডিএস লজিস্টিকস, সোনাইছড়িতে বিএম ডিপো, ভাটিয়ারিতে পোর্ট লিংক, আর কাট্টলিতে গোল্ডেন ও আইএসএটিএল। এছাড়া বাঁশবাড়িয়ায় বে লিংকের নতুন আইসিডি নির্মাণাধীন।

এই সব ডিপো মহাসড়কের একেবারে পাশেই হওয়ায় ট্রাকের নিয়মিত প্রবেশ ও প্রস্থান স্বাভাবিক যান চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি করে। কার্গোর চাপ বেড়ে গেলে ডিপোগুলোর সিরিয়াল মহাসড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, যা দীর্ঘ ও তীব্র যানজটে রূপ নেয়।

দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে যানজটের চাপ-
দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থেকে অনেক চালক বিরক্ত ও অস্থির হয়ে পড়েন। যানজট কাটতেই গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর তাড়ায় তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান, অনেকে উল্টো দিকেও চলাচল শুরু করেন। এতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।

হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সীতাকুণ্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১১ জন। এপ্রিলে ৬ জন, মে মাসে ৮ জন এবং জুনে ৬ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু শুধু জুলাই মাসেই ৩২টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩ জন—যা এ বছরের সর্বোচ্চ।

সমাধান মিলছে না-
বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন বলেন,
“জুলাই মাসজুড়ে এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিনই ডিপোগুলোর আশপাশে যানজট লেগে আছে। অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে চালক ও সহকারীরা হাইওয়ে পুলিশকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও কার্যকর সমাধান মিলছে না।”

স্থানীয় পরিবহনকর্মী ও যাত্রীদের অভিযোগ, মহাসড়ক সংলগ্ন আইসিডি গুলোতে প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এই যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা আরও বাড়বে।
No comments found