close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ডঃ ইউনুস পালাবেন না!

Shahin Bhuiyan avatar   
Shahin Bhuiyan
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সত্যিই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাবেন—এই ধরনের কোনো সার্বজনীন বা নির্ভরযোগ্য ভিত্তি নেই। বরং যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে এই পর্যন্ত তথ্য কী বলছে?..

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন তার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।’

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘বরং ক্যাবিনেটকে আরো গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ বলেন, তেমনি ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে'র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, প্রকাশ করতে হবে জুলাই সনদ। জুলাই-আগস্ট-২৫-এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাআল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

Tidak ada komentar yang ditemukan