ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান মিয়া (সাদমান)।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইমরান মিয়া বলেন,
“শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাই আমার ইশতেহারের মূল ভিত্তি। আমি চাই না শুধু একজন পদধারী হিসেবে থাকতে, বরং আপনাদের সহপাঠী ও বন্ধুর মতো কাজ করতে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
সাত দফা অঙ্গীকার
নিজের ইশতেহারে ইমরান মিয়া যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
- বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির সুযোগ বাড়াতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও গাইডলাইন সাপোর্ট।
- এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ।
- আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন।
- বিশ্ব ভাষা শিক্ষার সাশ্রয়ী কোর্স চালু।
- বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক সম্পর্ক জোরদার।
- আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যের জন্য হেল্পডেস্ক ও তথ্যভাণ্ডার।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং উন্নয়নে সহায়তা।
প্রেক্ষাপট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ আখ্যা দিয়ে ইমরান মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই কারণেই তিনি চান শিক্ষার্থীরা যেন বৃত্তি, গবেষণা ও বৈশ্বিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরতে পারে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
ইমরান মিয়ার প্রচারণায় ইতিমধ্যেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাঁর প্রতিশ্রুতিকে অনেকে সময়োপযোগী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অবস্থান উন্নয়নে সহায়ক বলে মন্তব্য করছেন।