বরিশাল: বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি সংস্কার ও উন্নয়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানাতে বরিশালের নথুল্লাবাদে উপস্থিত হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই)। তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি তার সমর্থন জানান এবং হাসপাতালের নাজুক পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের আহ্বান করেন।
বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র নথুল্লাবাদে শত শত আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হন। শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার, যেমন জরাজীর্ণ ভবন, চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা এবং জনবলের সংকট, সমাধানের দাবিতে তারা জড়ো হন। আন্দোলনকারীরা জানান, হাসপাতালের অবকাঠামো দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম তার ভাষণে বলেন, "স্বাস্থ্যসেবা জনগণের মৌলিক অধিকার। বরিশালের জনগণকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি যেন অবিলম্বে হাসপাতালের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।"
বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এটি শুধুমাত্র বরিশাল নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর রোগীদেরও সেবা প্রদান করে। দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এই হাসপাতালের উন্নয়ন হয়রানি ও বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের আন্দোলন হাসপাতালের উন্নয়নের দাবিকে জোরদার করবে এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
স্থানীয় জনগণের মতে, হাসপাতালের সেবা উন্নয়ন হলে বরিশাল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার রোগীরা তাদের চিকিৎসা পেতে ঢাকার উপর নির্ভরশীল হবে না। এতে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
এই আন্দোলন যদি যথাযথভাবে পরিচালিত হয় এবং সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, তবে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দ্রুততার সাথে একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। এর ফলে বরিশাল অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বাইরে থেকে আসা রোগীদের চাপও কমবে।
সংস্কারের দাবিতে চলমান এই আন্দোলন বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যাতে এই আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা দূর হয় এবং বরিশালের জনগণ সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পায়।