বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও চিন্তনশীল করতে গঠিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সাহিত্য সেল। সেলের সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক ও নির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম নিরব। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমামের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নিয়োগ ঘোষণা করা হয়। একইসাথে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সাহিত্য সেলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইব্রাহীম নিরব বলেন,
সাহিত্য কেবলই বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের চিন্তা, চেতনা, সংগ্রাম ও আত্মপরিচয়ের প্রকাশভঙ্গি। বিগত সময়কে খেয়াল করলে দেখবেন ফ্যাসিবাদকে ভিত্তি দিয়েছিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন স্বৈরাচার ব্যবস্থা আর ফিরে না আসতে পারে। পশ্চিমা ও ভারতীয় আগ্রাসনের ফলে আমাদের দেশীয় সাহিত্য বিলুপ্তির পথে, আমি নতুন জেনারশনের সবাইকে সাথে নিয়ে দখলমুক্ত করার প্রচেষ্টা করবো।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ছিলেন ইব্রাহীম নিরব। আন্দোলন চলাকালে তিনিই প্রথম গুমের শিকার হন বলে জানা যায়। স্বৈরাচারবিরোধী লেখালেখির কারণে তৎকালীন সরকারের আমলে একাধিকবার হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে তাকে।
২০২৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য বাস্টার্ড উন্নয়ন’ এবং ২০২৪ সালে ‘ভয়তন্ত্র’ প্রকাশিত হয়, যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি ও নিপীড়নের চিত্র ফুটে ওঠে। তিনি নিয়মিতভাবে অনলাইন মাধ্যমে দেশ, সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।