দিনাজপুর প্রতিনিধি: খান মোঃ আঃ মজিদ
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার পুরাতন গুচ্ছগ্রাম আবাসনে জামিনপ্রাপ্ত আসামীদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন উন্নতম আসামি আশা আক্তার—এমন অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার কুখ্যাত মোসাম্মাৎ মীরা কাশ্মিরী (৪০), স্বামী আব্দুল আলিম, এবং তার দেহরক্ষী আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী (৫৫), পিতা মৃত মসির উদ্দিন, ও আব্দুল আলিম (৫০), পিতা অজ্ঞাত—এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আসামিদের তালিকা
1. আশা আক্তার (২৬), পিতা: লাইসুর রহমান
2. লিপি আক্তার (৪৫), স্বামী: লাইসুর রহমান
3. লাইসুর রহমান, পিতা: মৃত মসির উদ্দিন
এদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে দিনাজপুর আদালত। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মুর্শিদাহাট মালিপাড়া এলাকায়, স্বামী আব্দুল মজিদ খানের বাড়ি থেকে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে দিনাজপুর পিবিআই পুলিশ (এসআই মোস্তফা খান ও এসআই বাসদব) এর চোখের ইসারায় আসামী আশা আক্তার কে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। তারআগে ওই দিনে বিকেল ৫:৩০ মিনিটের সময় পুরাতন গুচ্ছগ্রাম আবাসনে তদন্তের কাজে গেলে উন্নতম আসামী আসা আক্তার মাতা লিপি আক্তার ,মীরা কাশ্মীরি, দেহরক্ষী আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী দুই পিবিআই এর এসআই মোস্তফা খান ও বাসুদব কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্বামীর ঘর থেকে মা থাকতে এতিম করল তিন কন্যা সন্তান জান্নাতি আক্তার (৫), ফুলসূরাতি আক্তার (৫), মিম আক্তার (৪) কে কিন্তু কেন এ প্রশ্ন জনমনের।
পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ গভীর রাতে, জামিনপ্রাপ্ত আসামি মীরা কাশ্মিরী, আব্দুল আলিম, আব্দুল মালেক চৌধুরী ও নাম না জানা আরও অনেকের সহযোগিতায় আসামিরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এলাকা সূত্রে জানা যায়, মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে আসামিদের পলায়নে সহায়তা করা হয়। এই তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে, আসামি আশা আক্তার তার ব্যবহৃত ৮টি সিম বন্ধ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আদালতের উকিল-মোহরী ও পেশকারদেরও টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
এছাড়া জামিনে থাকা আসামিরা পলাতক আসামিদের সতর্ক করে বলা হয়েছে—যদি তারা খরচ বহন না করে, তবে পুরাতন গুচ্ছগ্রাম, নাপানগর, বড় সুলতানপুর, বা বোচাগঞ্জের অত্র এলাকায় তাদের আশ্রয় দেওয়া হবে না। এই হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্য মীরা কাশ্মিরী ও তার সহযোগীরা।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ
পলাতক ৬ আসামির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ আছে কিনা। তা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই নম্বরগুলোর অবস্থান বা যোগাযোগ কার্যক্রম শনাক্ত করা সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান—জামিনে থাকা আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাবে।