close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বকশীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ শিক্ষকের জিডি: নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ..

Ratan Entiser avatar   
Ratan Entiser
বকশীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ জন সহকারী শিক্ষক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন।..

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাঙ্গালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ জন সহকারী শিক্ষক তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ও তার সমর্থকদের থেকে তারা প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বিতর্কের সময়। অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান উত্তেজিত হয়ে সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, তানভীর আহমেদ, রুহুল আমীন, সিদ্দিকুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, নূর উদ্দিন ও জামাল উদ্দিনকে লাঞ্চিত করেন এবং অশালীন আচরণ করেন। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে, ওই শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিচার দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক ও তার সমর্থকদের হুমকির মুখে পড়েছেন বলে জানান সিনিয়র শিক্ষক আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, "প্রধান শিক্ষক ও তার সমর্থকদের হুমকির মুখে আমাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমরা জিডি করতে বাধ্য হয়েছি।"

অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, "স্কুলের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় সমাধানের চেষ্টা চলছিল। স্বাভাবিক আচরণের কিছু ব্যতিক্রম হয়ে গেছে। তবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়নি।" তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, "জিডির তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এই ঘটনা স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থায় নানান প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কতটা গুরুতর হতে পারে যে শিক্ষকদের জীবন নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে হয়? এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কীভাবে ব্যবস্থা নেবে তা এখন দেখার বিষয়। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে আশা করা হচ্ছে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও এর প্রভাব নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও মনোযোগী হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শিক্ষকদের মধ্যে এই ধরনের দ্বন্দ্ব শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের উচিত বিদ্যালয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

No comments found