জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানার অপসারণের দাবিতে রবিবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে। বাট্টাজোড় জিন্নাবাজার সড়কে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভের প্রেক্ষাপট মূলত ব্রাইট স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে বর্তমানে ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। মাসুদ রানা ১৩ আগস্ট একটি নোটিশ জারি করে স্কুলের সকল ক্লাস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেয় এবং নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
নোটিশ প্রত্যাহার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইউএনওর অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নামে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাইট স্কুলের পরিচালক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, অভিভাবক আব্দুর রহিম বাঙ্গাল মেম্বার, মিজানুর রহমান এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দশম শ্রেণির সোহাগ মিয়া ও নবম শ্রেণির মিতু খন্দকার।
বক্তারা জানান, ইউএনও মাসুদ রানার এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে এবং এটি তাদের ভবিষ্যতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তারা অবিলম্বে এই নোটিশ প্রত্যাহার এবং ইউএনওর অপসারণ দাবি করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, তবে এটি বকশীগঞ্জের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না করা হয়, তবে এটি বকশীগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার নিতে পারে, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।