close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বকশীগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ৩

Ratan Entiser avatar   
Ratan Entiser
জামালপুরের বকশীগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি ও ইউপি সদস্যসহ তিন জন গ্রেফতার।..

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন মানজালিয়া এলাকায় একটি গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি রাশেদুর রহমান ওরফে পাপ্পু (৩০) ও আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানার  পুলিশ। বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চারজন এবং অজ্ঞাতনামা সহ মোট ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন হলেন নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদীন ধরে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ধর্ষণ মামলায় তার সম্পৃক্ততা প্রমাণ হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

অভিযোগকারী ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং তারা জানকিপুর মানজালিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। ঘটনার দিন, তারা অটোগাড়ি ভাড়া করে নিলক্ষিয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে বকশীগঞ্জ থানাধীন বকশীগঞ্জ-ঢাকা হাইওয়ে রাস্তার মানজালিয়া উত্তর পাশে শাহিনের দোকানের সামনে তাদের আটকানো হয়। এরপর জোরপূর্বক তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। 

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চারজন ও অজ্ঞাতনামা সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে নারী নিরাপত্তা ও আইনের শাসনের ওপর প্রশ্ন তুলছে। এলাকায় জনমনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে যাতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়। 

এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তারা বলেন, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে থাকবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকার এবং সমাজের সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। 

এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া, সমাজে নারীদের প্রতি সম্মান ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

コメントがありません