চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় ৩নং ইউনিয়ন পরিষদকে ১৯৯৮ সালে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। আর্থিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ও বাজেটের পরিধি বাড়তে বাড়তে তিন যুগে পৌরসভাটি প্রথম গ্রেডে উন্নীত হলেও নাগরিক সেবা এখনো তৃতীয় গ্রেডের রয়ে গেছে।
শুধু ইট-পাথরের অবকাঠামো উন্নয়নের বাইরে পানি, বিদ্যুৎ, পয়নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও বিনোদন—প্রায় সব ক্ষেত্রেই স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ পৌরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, সংকুচিত ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট ডুবিয়ে ফেলে। পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্টের অভাবে অধিকাংশ এলাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে। ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বর্জ্যের দুর্গন্ধে পথচলা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
অভিযোগ আছে, নাগরিক সেবার বিভিন্ন দপ্তর বছরের পর বছর কক্ষ ও লোকবল শূন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমান রয়েছে কেবল নাগরিক সনদ, লাইসেন্স, ইঞ্জিনিয়ার ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তর—বাকি বিভাগগুলোর কার্যক্রম কার্যত অদৃশ্য।
পৌর প্রশাসক ফখরুল ইসলাম জানান, “নাগরিক সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেবার মানোন্নয়নে নতুন পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হবে।” তবে স্থায়ী প্রশাসক না থাকায় সেবার ধারাবাহিকতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।