সিলেটের, বিশ্বনাথ থেকে: মোস্তাক আহমদ মোস্তফা..........
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউপির ৪ বারের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার ওপর হামলার প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার (১৯ সেপ্টেবর) রাতে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বাদি হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১২/১৩ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে বিশ্বনাথ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯ (১৮.০৯.২৫ইং)।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার শাহজিরগাঁও গ্রামের মখলিছ আলীর ছেলে রায়হান আহমদ (৩০), একই উপজেলার জানাইয়া গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে সুজেল মিয়া (২৮), একই গ্রামের তুতু মিয়ার ছেলে রুপা মিয়া (২৫), রামধানা গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫), একই গ্রামের ছামছু মিয়া লালার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮), শিমুলতলা গ্রামের আরজুমন্দ আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান (৪৭), রাজনগর গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে আমজাদ আলী (৩০), একই গ্রামের আরশ আলীর ছেলে শামীম আহমদ (২৮), ফিরোজ আলীর ছেলে সেবুল মিয়া (৩০), মনাফ মিয়ার ছেলে সাকিল আহমদ (৩০), টুকেরকান্দি গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে কামরান আহমদ (৩০), টেংরা গ্রামের তেরা মিয়ার ছেলে মঈনুল ইসলাম (৩৭), বড় খুরমা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আজাদ মিয়া (৩০), একই গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর ছেলে আবদুল মছব্বির (৩৫)।
বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
গত ২৮ এপ্রিল বাদি উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় অন্যান্য বিষয়ের সাথে মাদক ও চোরাচালানোর বিরুদ্ধে বাদি অত্যন্ত জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সভা শেষে দুপুর ২টার দিকে বাদি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে উপজেলা পরিষদের সামনের মূল গেইট থেকে প্রায় ৩শত ফুটের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে আসা মাত্রাই পূর্ব হতে উৎ পেতে থাকা আসামিরা যাহারা মাদক ও চোরাচালান ব্যবসায়ী বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদির গতিরোধ করে। এসময় বাদিকে জোরপূর্বক সিএনজি থেকে নামিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে বাদি আহত হন। এসময় আসামিরা ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারন করে এবং বিভিন্ন অনলাইনে ফেইক আইডি দিয়ে প্রচার করে। আসামিরা বাদির মোবাইল ফোন, ব্রিটিশ ১ হাজার পাউন্ড (যাহা বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখ ৬০ হাজার), আরও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।