আজ ২০ আগস্ট, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমানের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেশবাসী গভীর শ্রদ্ধায় এই মহান মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করছে। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সাহসী পাইলট, যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন।
১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট, পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় বিমান দুর্ঘটনায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি তাঁকে স্মরণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। মতিউর রহমানের স্ত্রী বলেন, "মতিউর ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের সকলের জন্যই অনুপ্রেরণা।"
মতিউর রহমানের অবদানকে স্মরণ করে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও জোরালোভাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রচার করতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের আত্মত্যাগের কাহিনী আমাদের সমাজে দেশপ্রেমের আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মতিউর রহমানের আত্মত্যাগের কাহিনী নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।
মতিউর রহমানের আদর্শ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের চেতনা ধারণ করতে প্রভাবিত করবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে, মতিউর রহমানের মতো বীরদের স্মরণ করা আমাদের সবসময় প্রয়োজন। তাঁর আত্মত্যাগের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রেরণা যোগাবে।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদেরকে সবসময় স্মরণ করিয়ে দেয় যে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কতো বড় ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল।