মাদকের করাল গ্রাস থেকে সমাজকে মুক্ত রাখতে পুলিশ যখন সচেষ্ট, তখন বিজয়নগরের পাহাড়পুর ইউনিয়নের এক অজপাড়াগাঁয়ের কবরস্থানের পাশে চলছিল মাদকের গোপন কারবার। তবে এবার আর পার পাননি চক্রের সদস্যরা।
বুধবার (১২ জুন ২০২৫) রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে, বিজয়নগর থানার এসআই নির্মলেন্দু চাকমা ও এএসআই (নিরস্ত্র) ইব্রাহিম খলিল সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান ১০নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামালমুড়া গ্রামের মধ্যপাড়া কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে এলাই মেম্বারের বাগানে।
সেখান থেকেই হাতেনাতে আটক করা হয় মোঃ আবুল কালাম (২৫) নামে এক যুবককে। তার বাড়ি ওই গ্রামেরই কামালমুড়া এলাকায়। পিতা হেলাল মিয়া ও মাতা সাজন বেগমের ছেলে আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে মাদক কারবারে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযানে তার দখল থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ (আট) কেজি গাঁজা, যা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। পুলিশ জানায়, গাঁজার পরিমাণ, প্যাকেজিং ও গোপন স্থাপনা দেখে ধারণা করা হচ্ছে— এটি স্থানীয় চক্রের একটি বড় চালান ছিল।
আটক আবুল কালামের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণির ১৯(খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে (এফআইআর নং-১৫, তারিখ ১২ জুন ২০২৫; জি আর নং-২১৬)। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,
> "বিজয়নগরকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে, যাতে এ ধরনের অপরাধীরা কোথাও আশ্রয় না পায়।"
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এলাকায় কবরস্থানের পাশের নির্জন জায়গাটি নিয়ে বহুদিন ধরেই সন্দেহ ছিল। পুলিশের এই অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়ে বলেন—
> "এভাবে অভিযান চালালে মাদক চক্র নিশ্চিহ্ন হবে, আমাদের সন্তানেরা রক্ষা পাবে।"
মাদকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন সফল অভিযান সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি— কেবল গ্রেফতার নয়, এই চক্রের মূল হোতাদেরও আইনের আওতায় এনে সমাজকে মুক্ত করতে হবে মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে।
মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান কেবল শুরু। এ যুদ্ধে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত সামাজিক সচেতনতা ও সহযোগিতা। বিজয়নগরের মত দেশের প্রতিটি এলাকায় এমন উদ্যোগ হোক আরও দৃঢ় ও নিয়মিত।