close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজ গ্রেপ্তার: শিক্ষক লাঞ্ছিতের মামলার প্রধান আসামি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে লাঞ্ছিতের মামলায় বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজ গ্রেপ্তার। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মজিবর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ আগস্ট '২৫) রাতে বল্লী গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নবগঠিত বল্লী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, ইসলাম কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এজাহারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, বিএনপি কর্মী আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজ, বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামানসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদল নেতারা বিদ্যালয়ের দোতলায় প্রবেশ করে লোহার রড, লাঠি ও পাইপ দিয়ে তাকে পিটিয়ে জনসম্মুখে টেনে নিয়ে লাঞ্ছিত করে। তারা অভিযোগ করে যে, শিক্ষক শফিকুল ইসলাম একটি ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান করেছিলেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ফটকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে থানায় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল সম্পর্কে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাবের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রভাবের দিক থেকে দেখা যায়, এই ধরনের ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শিক্ষাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

Amirul Islam
Amirul Islam 3 days ago
সুন্দর আলোচনা
0 0 Reply
Show more