শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সম্প্রতি এক জনসভায় অভিযোগ করেছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো পরাজিত হওয়ার ভয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। তবে পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রামের জনগণ সচেতন নয়। হাবিবুল ইসলাম হাবিব আরো দাবি করেন যে, যদি এখনই নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপি সর্বোচ্চ আসন নিয়ে বিজয় লাভ করবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট '২৫) বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা ও লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলন কয়লা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ও লাঙ্গলঝাড়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন কয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিয়ার রহমান ও নাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম আজাদ মেরিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মোল্যা, এবং সাবেক মুখপাত্র অধ্যক্ষ রইচ উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আশরাফ হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু প্রমুখ।
বক্তব্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিব দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি প্রস্তুত, কিন্তু তা হতে হবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, "বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল এবং তারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা সংগ্রাম করে।"
এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য এবং প্রতিপক্ষের প্রতি অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন নয়। তবে, বিএনপির এই অভিযোগ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। পিআর পদ্ধতি বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটের মাধ্যমে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সমাধান হতে পারে বলে মত ব্যক্ত করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।
সাতক্ষীরার এই সম্মেলনে বিএনপির নেতারা একত্রিত হয়ে দলীয় ঐক্য এবং আগামী নির্বাচনে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে দলের কর্মীদের মনোবল আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
সামনেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতারা জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ কি ভাবছেন, তা সময়ই বলে দেবে।