বিয়ে ও প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। বুধবার রাতে মাঝিয়াকান্দি গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ মিয়া (৩০), সুলতান মিয়া (২৮) ও নয়ন মিয়া(২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২০) ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় কিশোরীর পরিবার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসিন এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই কিশোরীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াসিন ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখে, গলায় হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করে। এসময় কিশোরীর আর্তচিৎকারে পরিারের লোকজন সহ প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মমেক হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াসিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।