close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বহু গুণের অধিকারী, তালগাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

Borhan Kabir avatar   
Borhan Kabir
বাংলার গ্রামীন অঙ্গনে বেড়ে ওঠা প্রাচীন তাল গাছ, দিনদিন দেশ হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতির বৈচিত্র থেকে।..

মো: বোরহান কবির, স্টাফ রিপোটার, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) 

গ্রামীণ একটি ফল। বাংলার গ্রামীণ প্রান্তরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে তালগাছ, যেন প্রাকৃতিক এক সেপাই। তাল গাছ সাধারণত ৩০-৬০ ফুট পর্য়ন্ত লম্বা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে তালগাছ ১০০ ফুট পর্য়ন্ত লম্বা হতে পারে। তলগাছ ছায়া দেয়, বাতাসে দোলে আবার ঝড় এলেও দৃঢ় থাকে। তার পাতা যেন ঢাল, সূর্য  ও বৃষ্টির আঘাত থেকে রক্ষা করে আশ্রয় করীকে। কিন্তু দিন দিন গাছকাটার প্রতিযোগিতায় তালগাছও হারিয়ে যেতে বসেছে।

তালগাছ এটি এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রীষ্মকালীল গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম বোরাশাস ফ্লাবেলিফার। ইংরেজিতে এই গাছকে উড়ঁন ঢ়ষধস বলা হয়। এরা এরিকাসি পরিবারের বরাসুস গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর আদি বাস মধ্য আফ্রিকায়। ভারতীয় উপমহাদেশে তালগাছ প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়। 

এবার বলি তার গাছ থেকে কি কি উপকার পাওয়া যায়, তাল গাছের প্রায় সব অঙ্গ ব্যবহৃত হয় এবং উপকরণ তৈরি করা যায়। তাল পাতা শুধু ছায়া দেয়না, বাংলার সংস্কুতি ও জীবনে মহুমুখী কাজে ব্যবহুত হয়- ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর, আঁকার পট, লেখার পুঁথি, কুণ্ডলী, খেলনা। এমনকি হস্তশিপ্লেও তার অবদান। তালের কাণ্ড দিয়েও বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরী হয়। এই প্রাকৃতিক সেপাই, তাল ও তার পাতা, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গ্রামীণ জীবনের নীরব রক্ষক, আমাদের ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।  

 

তালের ফল এবং বীজ দুইই বাঙালির খাদ্য, তালের ফলের ঘন নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরী হয়। কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই তালের বীজ খাওয়া হয়। কচি তালের বীজের মধ্যে থাকে জলে ভরা তালশাঁস। আর পাকা তালের বীজ রেখে দিলে বীজ মধ্যস্থ শাঁস তালের আঁটিতে পরিণত হয় এবং বাঙালিদের সেটা সুস্বাদু খাদ্য। পাকা তালের নির্যাস থেকে পিঠা তৈরী হয়, যা সবার প্রিয়। তাল গাছের কাণ্ড থেকে রস সংগ্রহ করে গুড়, পাটালি, মিছরি তৈরি হয়, যা দিয়ে নানা রকম মুখোরচক খাবার বানানো হয়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ আরো অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে আরো আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।

No comments found