close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায়  প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা..

Sushanto Malakar avatar   
Sushanto Malakar
সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

 

 

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা  কারিগররা। আগামী আশ্বিন মাসে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রতিমা শিল্পীদের। দিন রাত্রি পরিশ্রমে গড়া হবে দেবী প্রতিমা। মুগ্ধ ভক্তরা আবার এই শিল্পীদের যাতে খোঁজেন, সুনাম হয়, দেবী প্রসন্ন হন সে আকাক্সক্ষা তাদের থাকে এ জন্যেও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন শিল্পীরা।
উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরি কাজে ভাস্কর শিল্পীরা।
এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পূজার প্রস্তুতি। দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার পূজা মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। সেই সঙ্গে  মন্ডপগুলোতে চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির মাটির কাজ। ইতিমধ্যে কয়েকটি পূজা মন্ডপে প্রতিমার আংশিক কাজ শেষ হয়েছে এখন শুধু রঙের কাজ। আবার অনেকেই এখনো মাটির কাজ করছে। 
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটির  সভাপতি অসীম কুমার দাস বলেন, এ বছর দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৪৩টি পূজা  মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি চলছে। 
তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রতিমা তৈরি শিল্পী সুশান্ত মালাকার বলেন, একটি প্রতিমা তৈরিতে বাঁশ, পেরেক ব্যবহার করে কাঠামো তৈরি করা হয়। তারপর কাঠামের সাথে খড় বা বিচালি দিয়ে পাটের রশি বা সুতলি দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মাটি সঙ্গে পাট দিয়ে সংযুক্ত করে  মাটির সংমিশ্রণ করে বিভিন্ন রকম প্রতিমা মূর্তি তৈরি করা হয়। এগুলো করতে ধীরে ধীরে, শুকানোর জন্য সময় দিতে হয়। কিছু দিন পর মাটির তৈরি গহনা বা ইমিটেশান গহনা ও সোনার গহনা ব্যবহার করা হয়। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন রং এর সাহায্যে পরিপূর্ণরূপ দেওয়া হবে তৈরিকৃত প্রতিমার। সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এখন শুধু অপেক্ষা দুর্গা উৎসবের।  
উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের কমিটি বৃন্দরা এই প্রতিবেদক কে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর পূর্ব হতে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে সকলের মনে আরও সাহস সঞ্চার হবে।  সেইসঙ্গে আমরা নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব পালন করতে পারব।


 

 

No comments found