বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার বেতাগীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এক অভাগা নারীর পরিবারের।
গত জুন মাসের ৩ তারিখ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবেশী এনায়েত হোসেনের একটি বড় গাছ পড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যায় সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর ভোলানাথপুর এলাকার অসহায় ঝুমুরের বসতঘর।
পরে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত মেরামতের জন্য নগদ ৩ হাজার টাকা ও এক ভান টিন দেয়। এগুলো পেয়েও ঘর তুলতে হিমশিম খেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে এনায়েত হোসেনকে কিছু টাকা নির্ধারন করে দেয় সহযোগিতা করার জন্য। তাদের এমন সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো বসতঘর যাতে না তুলতে পারে তার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ জুলাই বেতাগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঝুমুর। এতেই বাধে বিপত্তি, এর রেশ ধরে ২৭ জুলাই
বরগুনা জেলা আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন এনায়েত। ফলে লন্ড ভন্ড হওয়া বসতঘর রেখে ঝুপরি ঘর তৈরি করে তিন মেয়ে, দুই ছেলে সহ ৮০ বছরের বৃদ্ধা শ্বাশুড়িকে নিয়ে থাকে ঝুমুর।
অসহায় ঝুমুর বেগম বলেন, ঝর তুফানে ঘর ভাঙছে তাতেও গাছ মালিক আসে নায় দেখতে। পরে গাছ কেটে নিতে বললেও কাটে না৷ বলে যেমন আছে তেমন থাকুক। তোরা গুছাইয়া নিস। দিনমজুরি কাজ করে সংসার চালায়। কিছু টাকা দিয়ে ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেয়। হুমকি দেয় যাতে না তুলি। এহন আছি ঝুপরি ঘরে। তিন মাস ধরে কষ্ট করে থাকতেছি। ঘর ঠিক করমু নাকি কোর্টের বারান্দায় দৌড়ামু।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ হাওলাদার বলেন, এনায়েত খুব একটা ভালো প্রকৃতির লোক না। এলাকায় মামলাবাজ হিসেবেই পরিচিত। কারো সাথে ঝামেলা হলেই একটা মামলা করে হয়রানি করে। ওর জ্বালায় অতিষ্ঠ সবাই।
এবিষয়ে জানতে এনায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) বিপুল সিকদার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমরা সহযোগিতা করেছি। মামলার তদন্ত আসলে তার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে আদালতে।