close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বেতাগীতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাসায় হামলা ছাত্রদল নেতার..

SepahiTv. News avatar   
SepahiTv. News
হোসনাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বির নেতৃত্বে এই হামলা হয়।




বরগুনার বেতাগীতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বসতঘরে হামলা চালায় ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সহ আরও অনেকে। এতে একজন আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

ঘটনাটি ঘটে ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেহেরগাজী এলাকায়। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোপখালী জহির উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী নাইমাকে প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব দেয় পাশের এলাকার কুদ্দুস আকনের ছেলে সোহেল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বানী রাব্বি, ইভেন মোল্লা  মুসাদের নিয়ে ২৪ মে দুপুরে মাদ্রাসা থেকে আসার পথে ছাত্রী নাইমাকে কু প্রস্তাব দেয়  এবং তাকে জড়িয়ে ধরে পাশ্ববর্তী জাহাঙ্গীরের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ডাকচিৎকার দেয় নাইমা। তখন পাশের বাড়ী থাকা ফুফু কুলসুম আসলে ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা। পরে, স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য পিয়ারা বেগমের কাছে নালিশ করলে বিচারের আশ্বস্ত করে। এতেই বাঁধে বিপত্তি, ছাত্রদল নেতা সহ সকলের বিরুদ্ধে নালিশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৯ জুন রাগত ১০ টার সময় ছাত্রদল নেতা রাব্বী,সোহেল,মুসা,আদিল,রবিউল,সাকিব,ইয়ামিন, জুয়েল সহ আরও ৮ /১০ জনকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীর বসতঘরে হামলা চালায়। 

এসময় তাদের হামলায় বাঁধা দিতে গেলে রিফাত ও তার মাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে তারা। এমনকি এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী'র মা আসমা আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে জ্বালাতন করে সোহেল। শুধু আমার মেয়ে না, কয়েকবার শালিসি করছে অন্যদের সাথে খারাপ কাজ করায়। গেে মাসে রাস্তায় আটকিয়ে মেয়েরে খারাপ কাজ করতে চাইছে কিন্তু পারে নায়। পরে মহিলা মেম্বারের কাছে নালিশ দিছি। এই নালিশ দেওয়াই যেন আমার বিপদের কারন। গতকাল রাতে দলবল লইয়া ঘর তছনছ করছে। ওরা আইছেই শুধু আমার মাইয়াডারে নিয়া যাইতে। পরে মানু পড়ছে হেইতে আর কিছু করতে পারেনায়। 

হামলায় আহত হওয়া রিফাত বলেন, আমি ডাকচিৎকার শুইনা বাইরে বের হইছি তখন দেখি অনেক পোলাপান। ওরা ঘরে হামলা করতেছে। আমি বারন করায় সবাই মিল্লা আমারে পিটাইতে থাকে। তখন মায় আসলে তারেও পিটায়। 

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীর এজহার গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। 

Nema komentara