ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সোনালীরকুটি গ্রামে।
জানা যায়, সোনালীরকুটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের মেয়েকে বিয়ে দেন সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চিলকিরপাড় গ্রামের মিজানের পুত্রের সঙ্গে। বিবাহ সূত্রে তার মেয়ের শশুর মিজান (বিয়াই) নিয়মিত বিয়াইনের (ছেলের শ্বশুর বাড়ি) বাড়ি যাতায়াত করতেন।
এলাকাবাসী জানায়, আত্মহত্যাকারীর স্বামী আব্দুল হাকিম ও পুত্র বাইরে কাজের সন্ধানে থাকার সুবাদে প্রায় বেয়াই (মেয়ের শ্বশুর) মিজান তার বাড়ি যাতায়াত করে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক।
গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাতে বেয়াই (মিজান) চলে আসেন বিয়াইনের (ছেলের শ্বশুর বাড়ি) বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে বিয়াইনের (আফরোজা) নিজ ঘরে বেয়াই (মিজান) ঢুকে অনৈতিক মেলামেশায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
আপত্তিকর অবস্থায় আত্মহত্যাকারীর দেবর তাইজুদ্দিন স্ত্রী জহুরা বেগম ও মহুবরের স্ত্রী জোৎসনা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেলে বেয়াই (মিজান) দ্রুত পালিয়ে চলে যান।
আত্মহত্যাকারীর ছোট দেবর তাইজুদ্দিনের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরের দিন বিভিন্নভাবে এলাকাবাসীকে গালিগালাজ করে। অবশেষে লজ্জায় বুধবার দিবাগত রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এবিষয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণের বিষয়টি শুনে পুলিশকে খবর দিয়েছি।