close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাঁশখালীতে সাত কোটি টাকার সড়ক সংস্কারের সাত মাসেই বিপর্যয়..

Mohammad Wazad avatar   
Mohammad Wazad
****

বাঁশখালীতে সাত কোটি টাকার সড়ক সংস্কারের সাত মাসেই বিপর্যয়।চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাত কোটি টাকার সড়ক সংস্কার প্রকল্পের কাজ সাত মাসের মধ্যেই ভেঙে গেছে।চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় গুনাগরী খাসমহল থেকে পশ্চিমে অবস্থিত অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল। স্থানীয় জনগণের চলাচল অনুপযোগী এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সাত কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়। তবে, সংস্কারের পর সাত মাসের মধ্যেই সড়কটির অবস্থা আবারও অবনতি ঘটে। ৫০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ দেখে জনমনে সাময়িক স্বস্তি আসলেও সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের বেশিরভাগ অংশই বড় বড় গর্তে ভরে যায়, যা পুনরায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে ওঠে।সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সমুদ্র সৈকতগামী পর্যটকরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এমন অবস্থার কারণে অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে ডেলিভারি রোগীদের যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে এবং তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সাত কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পের কাজ সাত মাসের মধ্যেই ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা গভীর হতাশা প্রকাশ করেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।পশ্চিম বাঁশখালী অটোরিকশা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, 'সড়কটির অধিকাংশ অংশই খানাখন্দে ভরা। চালকরা ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারেন না এবং গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি হয়ে যায় এবং প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাও ঘটে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে এটি মরণফাঁদে পরিণত হবে।'এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা মনে করেন, মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোক ঠিকাদার থাকায় কাজের মান তদারকিতে উপজেলা প্রকৌশলী নিস্ক্রিয় ছিলেন।সড়কের এমন পরিস্থিতি স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যাপক প্রতিকূলতা তৈরি করেছে। সঠিক তদারকি এবং কাজের মানের ঘাটতির কারণে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

No comments found