বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং এ সংক্রান্ত সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্প্রতি একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি আয়োজন করা হয় জেলা রেজিস্ট্রার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কাজী ও ইমামগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যদের নিয়ে।
সভায় বাল্য বিবাহের কুফল এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলা রেজিস্ট্রার জানান, বাল্য বিবাহের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাল্য বিবাহ নিরুৎসাহিত করা উচিত এবং এই বিষয়ে ইমামগণকে মসজিদে জুমার খুতবায় সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান করা হয়। কাজীগণকে বাল্য বিবাহ নিবন্ধন না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বিদ্যমান আইন সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। তারা বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কেবলমাত্র এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা বলেন, যারা বাল্য বিবাহের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষে, সভায় উপস্থিত সকলে একমত হন যে, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সুস্থ ও নিরাপদ সমাজ গঠন করা সম্ভব। ভবিষ্যতে এ ধরনের মত বিনিময় সভা আরও আয়োজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।