close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আশাশুনিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও মানববন্ধন

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ থাকা আব্দুল মজিদকে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নিয়োগ দেওয়া এবং যুবদল ও বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট '২৫) বিকেলে বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের ধর্মতলা মোড়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর গাজী, পাপিয়া খাতুন, আবু হাসান, নবাব আলী প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, বিএনপির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টুর হস্তক্ষেপে চিহ্নিত চোর ও আওয়ামী লীগের দোসর আব্দুল মজিদকে ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাকিমকে ভোট না দেওয়ার কারণে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছিল মজিদের নেতৃত্বে। অথচ অবৈধ অর্থের বিনিময়ে মজিদকে ওয়ার্ড সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, পদ পেয়েই আব্দুল মজিদ তার সঙ্গীদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী আব্দুল গফুরের জমি দখল করতে যায়। জমির মালিকদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। এরপর মন্টু তার সহযোগী নুরুল ইসলামকে দিয়ে যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করায়। বক্তারা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগও তোলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মন্টুর ইন্ধনে গত ৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। মন্টু বড়দল বিএনপির জন্য ক্ষতিকর দাবি করে বক্তারা তার হস্তক্ষেপে গঠিত কমিটি বাতিল এবং নতুন সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে তিন শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে মন্টু ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাটামিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

এই ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলকে স্পষ্ট করেছে এবং স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা দলীয় সংহতি ও ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।

کوئی تبصرہ نہیں ملا