ওভালের চতুর্থ ইনিংসে জয় পেতে ইংলিশদের প্রয়োজন ৩৭৪ রান—যেটা এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডের চেয়ে অনেক বেশি। ওভালে এতদিনের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় ছিল ২৬০, সেটিও এসেছিল আজ থেকে ১২৩ বছর আগে—১৯০২ সালে।
তবে ইতিহাস ভাঙার পথে সাহসী এক লড়াইয়ে নেমেছে ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ব্যাটে ভর করে প্রায় অসম্ভব এই লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা।
রোববার (৩ আগস্ট) ম্যাচের তৃতী সেশনে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। চা বিরতির সময়ে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ৩১৭ রান—জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৫৭ রান, হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট।
শুরুটা অবশ্য সহজ ছিল না। ১০৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকেই ম্যাচে ফেরার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন হ্যারি ব্রুক ও জো রুট। এ জুটিতে আসে ১৯৫ রানের দারুণ এক পার্টনারশিপ।
নিজের ৩০তম টেস্টে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ব্রুক তুলে নেন দশম সেঞ্চুরি। মাত্র ৯৮ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার মারে করেন ১১১ রান। শেষ পর্যন্ত আকাশদীপের বলে ফিরলেও দলকে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ক্রিজে রয়েছেন অভিজ্ঞ জো রুট। প্রতিবেদন লেখাকালীন, এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৯তম টেস্ট শতক। তবে এই ইনিংস শুধু দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই নয়, ব্যক্তিগত এক অসাধারণ কীর্তির সাক্ষীও হয়ে রইল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন রুট। এটি তার ৬৯তম ম্যাচ। আগের ইনিংসে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিনি করেছিলেন ২৯ রান, ফলে এই মাইলফলকে পৌঁছাতে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান। মোহাম্মদ সিরাজকে চার মেরে সেই লক্ষ্যে পৌঁছান এই ইংলিশ ব্যাটিং আইকন।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রুটের রান এখন ৬,০০০, গড় ৫২.৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভ স্মিথ, যিনি ৫৫ টেস্টে করেছেন ৪,২৭৮ রান (গড় ৪৯.৭৪)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মার্নাস লাবুশেন—৫৩ টেস্টে ৪,২২৫ রান, গড় ৪৮.০১। আর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে, ৫৭ টেস্টে ৩,৬১৬ রান করেছেন তিনি।