close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আবহাওয়ার তথ্য নয়, বিছানা-রান্নার গন্ধে ভরপুর কোটি টাকার অফিস..

S M Neaj Morshed avatar   
S M Neaj Morshed
পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল ‘প্রথম শ্রেণির’ নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র।..

উদ্দেশ্য ছিল নদীঘেরা এই অঞ্চলে সঠিক পূর্বাভাস পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে উঠেছে একটি পরিত্যক্ত ভবন যেখানে নেই কর্মকর্তা, নেই কার্যক্রম, আছে শুধু খাট-বিছানা আর রান্নার গন্ধ।

২০০৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তখন ব্যয় ধরা হয় ৯০ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষ হয় ২০১২ সালে, হস্তান্তর করা হয় ২০১৬ সালে। এরপর কাগজে-কলমে কিছু লোক নিয়োগও হয়, কিন্তু বাস্তবে তারা অফিসে অনুপস্থিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে ঝুলছে তালা। পাশের গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে অফিস রুমে খাট, কাপড় শুকানোর দড়ি, রান্নার হাঁড়িপাতিল। অফিসের আসবাব সরিয়ে ভেতরে তৈরি করা হয়েছে থাকার জায়গা। যন্ত্রপাতিগুলো অচল হয়ে পড়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মারুফ হোসেন বলেন, সাত আট বছর ধরে এখানে আছি, কিন্তু অফিসে কোনোদিন কাউকে নিয়মিত আসতে দেখিনি। গেটও খোলা থাকে না।

একই কথা বললেন রিয়াদুল ইসলাম, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাই, কখনো অফিস চালু ছিল এমন মনে হয়নি।

ব্যবসায়ী সোয়াইব সিদ্দিক বলেন, পিরোজপুর তো উপকূলীয় জেলা। এখানে একটি কার্যকর আবহাওয়া অফিস থাকা জরুরি ছিল। কিন্তু এই অফিস কোনো কাজে আসে না।

এতসব অভিযোগের মধ্যেও অফিসটি ‘চলমান’ বলে দাবি করছেন নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজেদুল হক। তিনি বলেন, আমি গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে এখানে নিয়মিত অফিস করছি। যেসব যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলোর ডেটা সংগ্রহ করছি। কিছু যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে, সেটা উর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে।

অফিসে খাট-বিছানা আর বাসার মতো ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ২৪ ঘণ্টার অফিস। তাই যিনি রাতে থাকবেন, তার বিশ্রামের জন্য এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা, অবিলম্বে অফিসটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করে জনসেবার আওতায় আনা হোক।

No comments found