বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী নির্বাচন নিয়ে এক নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, ২০২৯ সালের নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন দাবি করার আইনগত বা যৌক্তিক ভিত্তি কী? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান সরকার সংসদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনা করতে পারবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকার একটি বিশেষ ব্যবস্থার অধীনে বাজেট প্রণয়ন, নিয়োগ এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম ২০২৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই পরিস্থিতিতে, এখন নির্বাচন দাবি করার অর্থ হলো ‘জুলাই সনদ’ বা গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে নির্বাচন চাওয়া, কারণ আইনগতভাবে ২০২৯ সালের ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ নেই।
আলোচনায় আরও বলা হয়, সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। যেসকল সংস্কার, যেমন নারীদের জন্য আসন বৃদ্ধি বা সরাসরি ভোটের মতো বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, তা ২০২৬ সালের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এই বিলম্বকে সময়ের অপচয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।