
Mohammad Fakrul Moula
|Les abonnés
Dernières vidéos
"গরীবের ইজ্জত আর ধনির প্রেসটিজ
রক্ষায় ব্যস্ত"—এই চিত্রনাট্য যেন
হুবহু মিলে যায় ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ধানমন্ডির নিউমার্কেট ও গাউছিয়ার বাস্তবতায়।
এই দুই মার্কেট শুধু কেনাকাটার স্থান নয়, বরং রাজধানীর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গতিপথের
একটি জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
নিউমার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে,
এক সময়কার 'নতুন বাজার' আজ পুরনো হয়েও
নতুনের চেয়ে কম নয়। তখনকার
দিনে ঢাকাবাসীর কাছে এটি ছিল আধুনিকতার প্রতীক। গাউছিয়া মার্কেট যোগ হয় পরবর্তী সময়ে,
কিন্তু জনপ্রিয়তার দিক থেকে সে আজ নিউমার্কেটের
সমতুল্য, অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগামী।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে সামাজিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সব খবর আমাদের সামনে আসে—খুন, গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু নির্যাতন—তা যেন এক দুঃস্বপ্নের নামান্তর। আর এসব অপরাধের জবাবে আমরা যেটুকু শুনে থাকি, তা হলো—“সংস্কার চলছে”, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর”, কিংবা “অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে”।
কিন্তু বাস্তব চিত্র কী বলছে?
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন জড়িয়ে
রয়েছে
এক
গৌরবময়
ইতিহাস
— ১৯৭১
সালের
মুক্তিযুদ্ধ। এ
যুদ্ধ
ছিল
একটি
জাতির
আত্মপরিচয়, ভাষা,
সংস্কৃতি ও
স্বাধীন অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য
এক
মহাকাব্যিক সংগ্রাম। লাখো
শহীদের
আত্মত্যাগ, লক্ষ
মা-বোনের নির্যাতনের ইতিহাস
আর
কোটি
মানুষের স্বপ্ন
ও
বেদনায়
গাঁথা
এই
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের
জাতীয়
অস্তিত্বের শিকড়।
অথচ
আজকাল
দেখা
যায়,
কিছু
রাজনৈতিক গোষ্ঠী
ও
ব্যক্তি স্বাধীনতার এই
ইতিহাসকে নিজেদের স্বার্থে বিকৃত
করে,
যা
নিঃসন্দেহে দেশের
অস্তিত্বের জন্য
এক
ভয়ঙ্কর
হুমকি।
বাংলা
সাহিত্যের এক
অনন্য
রত্ন,
আমাদের
জাতীয়
কবি
কাজী
নজরুল
ইসলাম।
যিনি
শুধু
একজন
কবি
ছিলেন
না,
ছিলেন
এক
দুরন্ত
ঝড়,
এক
জাগ্রত
আগ্নেয়গিরি, এক
বিপ্লবী চেতনার
প্রতীক। নজরুল
ছিলেন
বিদ্রোহী কবি,
প্রেমের কবি,
মানবতার কবি—তবে তার চেয়েও
বড়
কথা,
তিনি
ছিলেন
বৈষম্যের শিকার
এক
নিপীড়িত প্রাণ,
যার
জীবনের
প্রতিটি স্তর
সমাজের
নানা
রূপ
বৈষম্য
ও
বঞ্চনার কষাঘাতে রক্তাক্ত ছিল।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের অভাব, এবং বৈষম্যমূলক আয় বণ্টনের বাস্তবতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ — বিশেষ করে একজন দিন মজুর। প্রশ্ন আসে, একজন দিন মজুরের জীবন ও বর্তমান বাজারের বাস্তবতা কি একসাথে চলে? বাস্তবতা বলছে—না, কখনোই না।
তারুন্যের সমাবেশ থেকে/বিএনপি'র সমাবেশ ২৮ শে মে ২০২৫,পল্টন বি এন পি কেন্দ্রিয় কার্যালয়।
ইতিহাসের পাতা থেকে
ধানমন্ডি লেকের
উৎপত্তি একটি
প্রাকৃতিক খালের
মাধ্যমে, যা
অতীতে
'কারওয়ান বাজার
নদী'
নামে
পরিচিত
ছিল।
এটি
কলাবাগান ও
গ্রীন
রোড
পেরিয়ে তুরাগ
নদীতে
গিয়ে
মিলিত
হতো।
১৯৫৬
সালে
তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তান সরকার
ধানমন্ডিকে একটি
পরিকল্পিত আবাসিক
এলাকা
হিসেবে
গড়ে
তোলার
সিদ্ধান্ত নেয়।
তখনকার
পরিকল্পনায় ধানমন্ডির ২৪০.৭৪ হেক্টর জমির
মধ্যে
প্রায়
১৬
শতাংশ
অংশকে
লেক
হিসেবে
সংরক্ষিত রাখা
হয়।
এই
পরিকল্পনার ফলেই
ধানমন্ডি লেক
আজকের
আধুনিক
রূপ
লাভ
করে।
ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান অর্থনৈতিক মান উন্নয়নে এক
নির্ভর যোগ্য সহায়ক ,ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান বলতে সাধারণত সেইসব উদ্যোগ বা কাজকে বোঝানো হয় যেগুলো সীমিত মূলধন, অল্প জনবল এবং স্থানীয় স্তরে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, হস্তশিল্প, কৃষি-ভিত্তিক উদ্যোগ, গ্রামীণ শিল্প, সেবা খাত, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। এ ধরনের কর্মসংস্থানে যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক মান তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যপক সহায়তা করে।
হস্তশিল্প
মাঝপথে ট্রেনের বগি রেখে ইঞ্জিন চলে যায়…
প্লেন রেখে চাকা পড়ে যায়…
জনগণ রেখে সরকার ভেগে যায়…
মুসুল্লি রেখে বায়তুল মোকাররমের খতিব ভেগে যায়…
এই ব্যঙ্গ আর রম্য কবিতার পেছনে লুকিয়ে আছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। একটি জাতি যখন তার সর্বোচ্চ প্রত্যাশার জায়গা থেকে বারবার হতাশ হয়, তখন তারা এভাবেই ব্যথাকে ব্যঙ্গ করে বলে ফেলে। বাংলাদেশ এখন সেই রেলবগির মতো, যেখানে ইঞ্জিন কবে যে চলেছে, কেউ টেরই পায়নি।
একসময় যারা রাজনীতি করত মানুষের জন্য, আজ তারা ব্যস্ত নিজেকে রক্ষা করতে, নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে। এখনকার শাসন যেন এক নিঃশ্বাসে বলে—“তোমরা থাকো, আমরা চলি!” আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ধরে দেশ শাসন করেছে, কিছু উন্নয়ন হয়েছে—তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই উন্নয়নের নিচে চাপা পড়েছে হাজারো গুম, খুন, নিখোঁজ আর অন্যায়ের পাহাড়।
বর্তমান সমাজে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহের পিছনে যে সব কারণ কাজ করে, তার মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত সুদের প্রভাব অন্যতম। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ, যারা আর্থিক সংকটে পড়ে উচ্চ সুদের ঋণের আশ্রয় নেয়, তারা দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক সমস্যায় পড়েন। এই অনিয়ন্ত্রিত সুদের প্রভাব শুধু ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং তা সামগ্রিকভাবে সমাজের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে।
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো লেগুনা সার্ভিস। কম দূরত্বে চলাচলের জন্য সাধারণ মানুষ এ যানবাহনকে বেছে নেয় মূলত কম খরচ ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর আশায়। তবে বাস্তবতা হলো, এই সেবা যেন অনেক সময়ই “জেনে শুনে বিষ পান” করার মতো অভিজ্ঞতা এনে দেয়। অপরিপক্ক ও অদক্ষ চালক, যানবাহনের খারাপ অবস্থা, আইন-আনুগত্যের অভাবসহ নানা কারণে এটি আজ জননিরাপত্তার হুমকিতে পরিণত হয়েছে।
রাত—মানুষের বিশ্রামের সময়। সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে মানুষ প্রত্যাশা করে একটুখানি নিঃশব্দ ঘুম, যাতে শরীর ও মন নতুন দিনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। কিন্তু আধুনিক নগর জীবনের এক নির্মম বাস্তবতা হলো—এই নীরব রাতেই আবাসিক এলাকায় শুরু হয় ভারী যানবাহনের চলাচল এবং নির্মাণ সামগ্রী লোড-আনলোডের কাজ। এই অনিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ শুধুমাত্র পরিবেশদূষণ নয়, বরং এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি।
আজকের বাংলাদেশে একটি বড় উদ্বেগজনক বিষয় হলো অনুমতি বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ ও বিক্রয়। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই অননুমোদিত ও অস্বীকৃতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা শুধুমাত্র আইন লঙ্ঘনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য এক মারাত্মক হুমকি।
গ্যাস সিলিন্ডার একটি দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থ। এটি ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও মান নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অথচ আমাদের দেশে অনেক দোকানদার বা ডিলার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে চলেছেন। তারা জানেন না সিলিন্ডারটির গুণগত মান কেমন, এটি পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা, কিংবা এটি এক্সপায়ার কিনা। এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
শাহবাগ
শাহবাগ,
ভারত
ও
পাকিস্তানের মধ্যে
নতুন
করে
তীব্র
সামরিক
উত্তেজনা দেখা
দিয়েছে,
যা
দক্ষিণ
এশিয়াকে আবারও
যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে
দাঁড়
করিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার
প্রতিক্রিয়ায় ভারত
বড়
পরিসরের সামরিক
অভিযান
চালিয়েছে পাকিস্তান-অধিকৃত
কাশ্মীর এলাকায়। পাল্টা
জবাবে
পাকিস্তানও শক্ত
প্রতিরোধ গড়ে
তোলে।
দুই
পক্ষের
পাল্টাপাল্টি হামলায়
এখন
পর্যন্ত অন্তত
শতাধিক
মানুষের প্রাণহানির খবর
পাওয়া
গেছে।
যখন উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, ভারত ও পাকিস্তান, সীমান্তে একে অপরের দিকে চোখ রাঙায়, তখন আর দশটা দেশের মতোই গোটা বিশ্ব দম বন্ধ করে অপেক্ষা করে—এবার কী হয়! কিন্তু একমাত্র দেশ যাকে আপনি সবকিছুর মধ্যেই নাক গলাতে দেখেন, হঠাৎ করেই তার মুখে তালা। হ্যাঁ, আপনি ঠিক ধরেছেন—আমরা বলছি যুক্তরাষ্ট্রের কথা।
সম্প্রতি এক হাই-প্রোফাইল প্রেস ব্রিফিংয়ে, সাংবাদিক যখন মুখ গোমড়া করে জিজ্ঞেস করলেন, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?"—তখন মুখে অনাবিল হাসি ছড়িয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বললেন, “এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা ওদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।”
২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ভারতীয় কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জবাবে ভারত "অপারেশন সিন্ধুর" নামে একাধিক বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। পাকিস্তান এই হামলাকে "যুদ্ধের ঘোষণা" বলে প্রতিক্রিয়া জানায়।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কারণে। এ অবস্থায় আলোচনায় এসেছে ইরান—একটি প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তি, যেটি অতীতে কখনো কখনো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আগ্রহ দেখিয়েছে।
১৯৪৭-এ ভাগ হওয়া মানচিত্র এখনো বিভক্ত শুধু কাগজে নয়, মগজেও। ভারত-পাকিস্তান — দুই দাদার লড়াই যেন এক চিরন্তন রাগিণী, যেখানে প্রতিটি যন্ত্র হলো যুদ্ধাস্ত্র, আর প্রতিটি সুর হলো সন্দেহ। এমনই এক অপূর্ব অপেরা সম্প্রতি বেজে উঠল আকাশে, ড্রোনের গর্জনে আর রাফালের ধ্বংসাবশেষে।