Quần short

কসবামাজাইল নিউজ
5 Lượt xem · 3 tháng trước kia


মোঃ বাপ্পারাজ খান (পাংশা প্রতিনিধি)


সার সংকটে যখন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা দিশেহারা, ঠিক তখনই ২৬ বস্তা ডি এ পি সার শৈলকুপা উপজেলায় পাচার করা কালে কৃষকের হাতে আটক।
(২৮ আগস্ট ) বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেয়াগ্রাম খুলুমবাড়ী খেয়াঘাট দিয়ে দুটি ভ‍্যান গাড়িতে ২৬ বস্তা ডি এ পি সার নিয়ে গড়াই নদীর খেয়া ঘাটপার হয়ে খুলুমবাড়ী বাজারের দিকে যাচ্ছে দেখে ঐ এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সাংবাদিক ও পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ বাপ্পারাজ খান'কে খবর দেন।মোঃ বাপ্পারাজ খান তাৎক্ষণিক খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে ভ‍্যান চালকের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান এই সার বাগলী বাজার জাহিদ বিশ্বাস এর গোডাউন থেকে এনেছি। কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে ভ‍্যানচালক জানান, খুলুমবাড়ী বাজারে সাম কুন্ডুর ঘরে যাবে।
ঐ সাংবাদিক বিষয়টি জানতে তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে সার এর ডিলার জাহিদ বিশ্বাস'কে ফোন দিলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন।
তখন ঐ সাংবাদিক তাৎক্ষণিক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সার বোঝাই ভ‍্যানগাড়ীসহ একটি পোষ্ট দিলে বিষয়টি পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নজরে আসে। পাংশা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে সার বোঝাই ভ‍্যানগাড়ী আটক করে বাগলী বাজারে জাহিদ বিশ্বাসের দোকানে নিয়ে আসেন।

সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবে আরেক সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বাগলী বাজারে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত‍্যতা স্বীকার করে ঐ সাংবাদিক'কে জানান, আমরা বিষয়টি আপাতত ক্ষমার চোখে দেখতে চাই। আপনারা ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস তুলে নিন। তার কথায় ঐ সাংবাদিক রেগে গেলে, তখন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন কথার প্রঙ্গ পাল্টিয়ে বলেন, আমরা অবশ্যই ডিলার জাহিদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব‍্যাবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক তরুন জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ সারের ডিলারী করছেন। এখনো কিভাবে তার ডিলারী থাকে? মতিন, রতন, আরিফ, ও শিবলু আরো অন্যান্য ব্যক্তিরা জানান আমরা সার আনতে গেলে সার দেয় না। আরো বলেসার এখন নাই তা ছাড়া ও জাহিদ বিশ্বাস সার বিক্রি করে বস্তুা প্রতি ২০০থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে সার ডিলার জাহিদ বিশ্বাস নিজ ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সার বিক্রি করেন সরিষা ইউনিয়নের বাগলী বাজারে। কসবামাজাইল ইউনিয়নের কৃষকেরা সার আনতে বাগলী বাজারে গেলে, ডিলার সার নেই বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, জাহিদ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই সার নিয়ে নয় ছয় করে আসছেন। আমরা তার ডিলারী বাতিল করতে অবিলম্বে নতুন ডিলার চাই।