
M A Eusuf Ali
|Subscribers
Breaking news
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে তীব্র স্রোতে ভেরি বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
পটুয়াখালীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন শিক্ষকদের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন
এম এ ইউসুফ আলী, পটুয়াখালী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৮ম পর্যায়ের প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন ও জানুয়ারি ২০২৫ সালের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান সহ পাঁচ দফা দাবিতে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন শিক্ষকরা । শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকদের দাবি, কোরবানির ঈদের বোনাসসহ ৬ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক এবং বেতন বৃদ্ধিসহ রাজস্ব খাতে তাদের চাকরি করা হোক এই দাবি তোলেন তারা।মানববন্ধনে প্রায় এক হাজার শিক্ষকরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা জানান, বিগত সাতটি পর্যায়ে এই প্রকল্প সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোরআন শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের বেতন বকেয়া ও ন্যায্য বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় আর্থিক সংকটে ভুগছেন।তারা দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পটুয়াখালী ফিল্ড অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান। ফিল্ড সুপারভাইজার,মোঃ সিরাজুল ইসলাম,মোঃ শফিউল্লাহ,মোঃ ওজায়ের হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তারা সতর্ক করে বলেন, দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের
৮৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতি মাসে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান তাঁরা। সেটাও বন্ধ রয়েছে গত জানুয়ারি থেকে। এসব কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেশির ভাগই মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে তাই কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁদের। পটুয়াখালীর জেলায় ১১হাজার ১শত ১০জন শিক্ষক রয়েছে।
তাদের পাঁচটি দাবী হলো
১, জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ হতে প্রকল্প অনুমোদন করতে হবে এবং ঈদুল আযহার পূর্বে সকল বেতন ভাতা পরিষদ করতে হবে।
২. প্রকল্পে তৃতীয় থেকে সপ্তম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাদ্যভুক্ত করতে হবে।
৩. সপ্তম পর্যায়ে প্রকল্পের বিদ্যমান জনবল কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অষ্টম পর্যায় প্রকল্পে হস্তান্তর করতে হবে।
৪. কেয়ারটেকার ও কর্মীদেরকে স্কেল ভুক্ত করতে হবে।
৫. শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।